একটা সময় ছিল যখন ই পাসপোর্ট কি আমরা জানতাম না। ওই সময়টাতে পাসপোর্ট করতে গেলে আমাদের দালাল ছাড়া কোন উপায় ছিল না অনেক ভোগান্তির শিকার হয়ে একটি পাসপোর্ট তৈরি করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে পাসপোর্ট সেবা ডিজিটালাইজেশন করার পর থেকে এবং ই পাসপোর্ট আসার পর থেকে জনসাধারণের ভোগান্তি শেষ হয়ে গিয়েছে বর্তমানে ঘরে বসেই আপনি ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন নিজেই নিজের আবেদন করে নিজেই পেমেন্ট করতে পারবেন এবং মাত্র কয়েকদিনের ভিতরেই আপনার ই পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন এর জন্য কোন দালালের কাছে যেতে হবে না । আপনারা অনেকেই জানতে চান কিভাবে অফিশিয়াল পাসপোর্ট করতে হয় সাধারণত ই পাসপোর্ট ২ ক্যাটাগরির । ১) অর্ডিনারি পাসপোর্ট এবং ২) অফিসিয়াল পাসপোর্ট
১) অর্ডিনারি ই পাসপোর্টঃ এই পাসপোর্ট সাধারণ জনগণদের জন্য এক কথায় বলা যেতে পারে যারা সরকারি চাকরি করে না তারা প্রত্যেকেই এই ক্যাটাগরির পাসপোর্ট করে থাকেন ।
২) অফিসিয়াল ই পাসপোর্টঃ যারা সরকারি চাকরিজীবী সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন শুধুমাত্র তারাই অফিশিয়াল পাসপোর্ট করতে পারবেন। অফিসিয়ার পাসপোর্ট শুধুমাত্র সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে করা হয়।
✔ অর্ডিনারি পাসপোর্ট করতে যে ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন পড়েঃ জাতীয় পরিচয় পত্র, ১৮ বছরের নিচে হলে জন্ম সনদ, স্টুডেন্ট হলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড অথবা সার্টিফিকেট, প্রফেশনের একটি প্রমাণক যেমন যদি প্রাইভেট কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তাহলে এপয়েন্টমেন্ট লেটার অথবা আইডি কার্ড । এই কয়েকটা ডকুমেন্ট হলেই আপনি অর্ডিনারি ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন ।
✔ অফিসিয়াল ই পাসপোর্টঃ জাতীয় পরিচয় পত্র, অফিস থেকে বিভাগীয় NOC/GO
এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন তাহলে পাসপোর্ট করার জন্য আপনাকে অন্য কারো ধার ধরতে হবে না আপনি নিজেই নিজের জন্য ই পাসপোর্ট এর আবেদন করতে পারবেন এবং ই পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন মাত্র কয়েকদিনের ভিতরেই।
ই-পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশাবলী:
➡ ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করা যাবে
➡ ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যাইত করার প্রয়োজন হবে না।
➡ ই-পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যাইত করতে হবে না।
➡ (NID) জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে।
➡ অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারি যার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নাই, তার পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
➡ জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ নম্নোক্ত বয়স অনুসারে দাখিল করতে হব (ক) ১৮ বছরের নিম্নে হলে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ।
(খ) ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ (গ) ২০ বছরের উর্ধে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক । তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ গ্রহণযোগ্য হবে।
➡ * তারকা চিহ্নিত ক্রমিক নম্বরগুলো অবশ্যই পূরণীয়।
➡ * দত্তক/অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনের সাথে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত আদেশ দাখিল করতে হবে।
➡* আবেদন বর্তমান ঠিকানা সংশ্লিষ্ঠ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস/বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে দাখিল করতে হবে।
➡ *১৮ বছরের নিচে এবং ৬৫ বছরের উপরে সকল আবেদনে ই-পাসপোর্টের মেয়াদে হবে ০৫ বছর।
ই পাসপোর্ট করার জন্য প্রথমে এই ➡লিঙ্ক এ যাবেন।
এবার এখানে সবার উপরে Yes নির্বাচন করবেন তার নিচে আপনার বর্তমান ঠিকানার বিভাগ ও জেলা নির্বাচন করবেন এবং Continue ক্লিক করবেন।
এখানে আপনার ইমেইল এড্রেস দিয়ে Continue ক্লিক করবেন।
এবার এখানে পাসওয়ার্ড আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী আপনার নাম মোবাইল নাম্বার দিয়ে Continue ক্লিক করবেন।
এবার আপনার ইমেইল চেক দিয়ে দেখুন ই পাসপোর্ট থেকে একটি মেইল গিয়েছে আপনার ইমেইলটিকে ভেরিফাই করে নিন
ইমেইল ভেরিফাই হয়ে গেলে সাইন ইন থেকে আপনার ইমেইল এড্রেস পাসওয়ার্ড দিয়ে ই পাসপোর্ট অ্যাকাউন্টে লগইন করে নিন।
এখান থেকে পাসপোর্ট টাইপ নির্বাচন করুন এবং Save and continue ক্লিক করুন
এখানে আপনার পার্সোনাল তথ্যগুলো দিন এবং Save and continue ক্লিক করুন
এখানে আপনার প্রেজেন্ট এবং পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস সঠিকভাবে দিবেন । অবশ্যই সকল কিছু যেন আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে মিল থাকে । অথবা যদি আগের পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে সেই পাসপোর্টের সাথে মিল রেখে সকল তথ্য পূরণ করবেন। এরপর Save and continue
এখান থেকে আপনার আইডি ডকুমেন্টস নির্বাচন করবেন যদি আগের কোন পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে নির্বাচন করে সে পাসপোর্ট এর তথ্য দিবেন আর যদি আগের কোন পাসপোর্ট না থাকে তাহলে নো আই ডোন্ট হ্যাভ এনি প্রিভিয়াস পাসপোর্ট এই লেখাতে ক্লিক করবেন এরপর নিচে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বারটি দিয়ে Save and continue ক্লিক করুন ।
এ পর্যায়ে আপনার বাবা-মায়ের তথ্য এখানে দিবেন যদি আপনার বাবা-মা জীবিত থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার উল্লেখ করবেন। এরপর নিচে থেকে Save and continue ক্লিক করুন।
এখান থেকে আপনার বৈবাহিক অবস্থা নির্বাচন করে Save and continue ক্লিক করুন
এখান থেকে আপনার ইমারজেন্সি কন্ট্রাক্ট পারসন নির্বাচন করবেন। তার নাম ঠিকানা মোবাইল ফোনের নাম্বার এইখানে পূরণ করবেন। যাতে পাসপোর্ট অফিস আপনার অবর্তমানে তার সাথে যোগাযোগ করতে পারে । এরপর Save and continue ক্লিক করুন।
এবার থেকে পাসপোর্ট অপশন নির্বাচন করবেন এবং Save and continue ক্লিক করুন।
এর পরবর্তী বিষয়গুলো ভিডিও আকারে না দেখলে আপনাদের বুঝতে অসুবিধা হবে। তাই নিচের ভিডিওটি দেখুন এবং পরবর্তী স্টেপ গুলো কমপ্লিট করুন । এই ভিডিওটি দেখলে আশা করি ই পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে অন্য কারো প্রয়োজন পড়বে না।
Stay With Android Lecture BD
Thanks vai. onek upokar holo