আসসালামু আলাইকুম আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। ২০২৩ সালে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর বিভিন্ন ফিস কিন্তু পরিবর্তিত হয়েছে । যেমন স্মার্ট কার্ড ইস্যুর ফি, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফি ইত্যাদি। আজকের এই আর্টিকেলে আমি সকল কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করব কত টাকায় কোন কাজ করতে হবে সেই সাথে অনলাইনে কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন সে বিষয়েও বিস্তারিত আপনাদেরকে জানাবো বর্তমানে কিন্তু ডাকযোগেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স টি গ্রহণ করতে পারবেন। শুধুমাত্র আপনাকে একবার বিআরটিএতে যেতে হবে একদিন গিয়েই আপনি সব কাজ শেষ করতে পারবেন এবং ঘরে বসেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করতে পারবেন।
#online driving license application
বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইনেই করা যাচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইনে করার জন্য আপনি এই লিংকে প্রবেশ করতে পারেন । ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে আপনাকে সর্ব প্রথম যে কাজটি করতে হবে আপনাকে লার্নার লাইসেন্স করতে হবে । লার্নার লাইসেন্স করার জন্য আপনার প্রয়োজন পড়বে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, মেডিকেল সার্টিফিকেট ,স্কুল সার্টিফিকেট এবং বিদ্যুৎ বিলের কপি । এই কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করে আপনি অনলাইনে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করবেন সেটা এই আর্টিকেলের নিচে আপনাদেরকে বলে দিব। ড্রাইভিং লাইসেন্স মূলত দুই ধরনের হয় পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স । পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স আপনি পাঁচ বছর মেয়াদে করতে পারবেন এবং অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স আপনাকে দশ বছরের মেয়াদে দিবে। দুই ক্যাটাগরির লাইসেন্স করতেই আপনাকে লানার লাইসেন্স শুরুতেই করতে হবে । অনেকেই মনে করে থাকেন লার্নার লাইসেন্স দিয়ে ড্রাইভিং করা যায় এটা আপনাদের ভুল ধারণা আপনি যদি লার্নার লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি ড্রাইভ করেন এবং ট্রাফিক সার্জনের হাতে ধরা খান তাহলে আপনি চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার মামলা খেয়ে যাবেন। সুতরাং লার্নাল লাইসেন্স থাকা অবস্থায় ভুলেও গাড়ি চালাবেন না তবে লার্নাল লাইসেন্স থাকা অবস্থায় আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ড্রাইভিং শিখতে পারেন। এবার চলুন জেনে নেই লার্নার লাইসেন্স করতে বর্তমানে কত টাকা লাগছে ।
(ক) লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগবে তার নিচের স্ক্রিনশটে লেখা রয়েছে
⇒ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে প্রতি শ্রেণীর পুনঃপরীক্ষার ফি (২০০ + ১৫% ভ্যাট) = ২০০/-
⇒ লার্নার লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণের ক্ষেত্রে নবায়ন ফি (২৫০+১৫% ভ্যাট)= ২৮৮/-
লার্নার লাইসেন্স করার পর আপনি একটি পরীক্ষার ডেট পাবেন সেই ডেটে গিয়ে শুরুতেই আপনাকে লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে । লিখিত পরীক্ষায় যে প্রশ্নগুলো আসবে তার একটি নমুনা প্রশ্নের লিংক আমি আপনাদেরকে দিয়ে দিচ্ছি আপনারা এই লিংকে ক্লিক করে নমুনা প্রশ্নটি পড়ে নিবেন নমুনা প্রশ্নটি পড়লে আপনারা খুব সহজেই ড্রাইভিং লাইসেন্স এর লিখিত পরীক্ষায় পাস করে যাবেন । লিখিত পরীক্ষায় পাশ করার পর ওই দিনই আপনার ভাইবা পরীক্ষা নেওয়া হবে । ঘাবরানোর কিছু নেই ভাইবা পরীক্ষা খুবই সহজ হয় সাধারণত ড্রাইভিং লাইসেন্স এর লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষায় কেউ ফেল করে না । ভাইবা পরীক্ষার জন্য আপনি বিভিন্ন ট্রাফিক সাইন এবং ট্রাফিক নিয়ম-কানুন সম্পর্কে একটু ধারণা নিয়ে নিবেন । ভাইবা পরীক্ষায় পাস করার পর আপনাকে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে এবং ওই দিনই আপনি ড্রাইভিং টেস্ট দিবেন । ড্রাইভিং টেস্টে উত্তীর্ণ হলে আপনার লার্নার কার্ডের ভিতরে বিআরটিএ থেকে লিখে দিবে যে আপনি পাস করেছেন । এবার আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে । অনলাইনে যেখান থেকে আপনি লার্নার কার্ড করেছিলেন ঠিক সেখান থেকেই এবার অনলাইনেই স্মার্ট কার্ডের আবেদন করতে পারবেন। স্মার্ট কার্ডের আবেদন করতে আপনার প্রয়োজন পড়বে আপনার লিখিত পরীক্ষা, রিটেন পরীক্ষা এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা পাশের প্রমাণক । প্রমাণক হিসেবে আপনি আপনার লার্নার কার্ডটি আপলোড করতে পারেন স্ক্যান করে । পরীক্ষায় পাশের প্রমাণক আপলোড করার পর আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে এবার চলুন জেনে নেই ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ডের জন্য আপনার কত টাকা পেমেন্ট করতে হবে। নিচে পেশাদার এবং অপেশাদার দুই ধরনেরই ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ডের আবেদন করতে কত টাকা লাগে তার দেওয়া হল।
(খ) ড্রাইভিং পরীক্ষার পরে স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ফি।
⇒অপেশাদার (১০ বছর) – ৪৫৫৭৳ এবং
⇒পেশাদার (০৫ বছর)- ২৮৩২৳
লার্নার লাইসেন্স করার পর আপনি একটি পরীক্ষার ডেট পাবেন সেই ডেটে গিয়ে শুরুতেই আপনাকে লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে । লিখিত পরীক্ষায় যে প্রশ্নগুলো আসবে তার একটি নমুনা প্রশ্নের লিংক আমি আপনাদেরকে দিয়ে দিচ্ছি আপনারা এই লিংকে ক্লিক করে নমুনা প্রশ্নটি পড়ে নিবেন নমুনা প্রশ্নটি পড়লে আপনারা খুব সহজেই ড্রাইভিং লাইসেন্স এর লিখিত পরীক্ষায় পাস করে যাবেন । লিখিত পরীক্ষায় পাশ করার পর ওই দিনই আপনার ভাইবা পরীক্ষা নেওয়া হবে । ঘাবরানোর কিছু নেই ভাইবা পরীক্ষা খুবই সহজ হয় সাধারণত ড্রাইভিং লাইসেন্স এর লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষায় কেউ ফেল করে না । ভাইবা পরীক্ষার জন্য আপনি বিভিন্ন ট্রাফিক সাইন এবং ট্রাফিক নিয়ম-কানুন সম্পর্কে একটু ধারণা নিয়ে নিবেন । ভাইবা পরীক্ষায় পাস করার পর আপনাকে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে এবং ওই দিনই আপনি ড্রাইভিং টেস্ট দিবেন । ড্রাইভিং টেস্টে উত্তীর্ণ হলে আপনার লার্নার কার্ডের ভিতরে বিআরটিএ থেকে লিখে দিবে যে আপনি পাস করেছেন । এবার আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে । অনলাইনে যেখান থেকে আপনি লার্নার কার্ড করেছিলেন ঠিক সেখান থেকেই এবার অনলাইনেই স্মার্ট কার্ডের আবেদন করতে পারবেন। স্মার্ট কার্ডের আবেদন করতে আপনার প্রয়োজন পড়বে আপনার লিখিত পরীক্ষা, রিটেন পরীক্ষা এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা পাশের প্রমাণক । প্রমাণক হিসেবে আপনি আপনার লার্নার কার্ডটি আপলোড করতে পারেন স্ক্যান করে । পরীক্ষায় পাশের প্রমাণক আপলোড করার পর আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে এবার চলুন জেনে নেই ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ডের জন্য আপনার কত টাকা পেমেন্ট করতে হবে। নিচে পেশাদার এবং অপেশাদার দুই ধরনেরই ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ডের আবেদন করতে কত টাকা লাগে তার দেওয়া হল।
(গ) ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন
⇒অপেশাদার (১০ বছর) – ৪২১২৳ এবং
⇒পেশাদার (০৫ বছর)- ২৪৮৭৳
বি:দ্র: বিদ্যমান লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে প্রতি বছর বিলম্ব ফিসহ (৪৫০/- + ১৫% ভ্যাট) = ৫১৮ মোট
বিভিন্ন সময় দেখা যায় আমাদের ভিতরে অনেকেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেছে কিংবা যেকোনো কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা অনেকেই জানিনা ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে কিভাবে সেটাকে উত্তোলন করতে হয়। যদি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে যায় এবং আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি যদি অপেশাদার থাকে তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি আবেদন করে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি পুনরায় উত্তোলন করতে পারবেন বা রি ইস্যু করতে পারবেন। সব থেকে মজার বিষয় হলো আপনাকে পেমেন্ট করার জন্য ব্যাংকে যেতে হবে না এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স টি উত্তোলন করার জন্য বিআরটিএ তে যেতে হবে না আপনাকে ডাকযোগের মাধ্যমে পিয়ন এসে আপনার বাসায় ড্রাইভিং লাইসেন্সটি দিয়ে যাবে। এর জন্য আপনার প্রয়োজন পড়বে তিনটা ডকুমেন্টের। প্রথমত আপনাকে থানায় গিয়ে একটা জিডি করতে হবে জিডিতে অবশ্যই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের নাম্বার এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ডিটেলস উল্লেখ করবেন। এরপর আপনাকে জিডির কপিটি নিয়ে চলে যেতে হবে ট্রাফিক অফিসে সেখানে গিয়ে আপনি একটি ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স নিয়ে নিবেন । এরপর আপনি জিডির কপি ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স কপি এবং আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের স্ক্যান কপি আপনার কম্পিউটারের যে কোন একটি ফোলারে স্ক্যান করে রেখে দিবেন । এরপর আপনি এই লিঙ্কে প্রবেশ করে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স রি ইসুর জন্য আবেদন করতে পারবেন । এবার চলুন জেনে নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে সেটা পুনরায় উত্তোলন করতে আপনার কত টাকা খরচ করতে হবে ।
(ঘ) ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত অন্যান্য ফি যেমনঃ- ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে প্রতিলিপি ফিস এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সংশোধনী ফি নিম্নে দেওয়া হলো
(ঙ) ড্রাইভিং লাইসেন্সে মোটরযানের শ্রেণি সংযোজন / ধরণ এবং অন্তর্ভূক্তি (এন্ডোর্সমেন্ট) ফিস।
এটাই ছিল আজকের আর্টিকেল আশা করছি বুঝতে পেরেছেন ২০২৩ সালে এসে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে সেই সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্সের যে অন্যান্য ফ্রিজগুলো রয়েছে সেই ফ্রিজ গুলো কত। একটা সময় ছিল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আমাদেরকে অনেক বার বিআরটিএতে যেতে হতো সেই সাথে দালাল ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স করাই যেত না এর জন্য খরচ করতে হতো মোটা অংকের টাকা কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ ডিজিটাল হওয়ার পর থেকে সকল কিছু ওয়ান বাই ওয়ান ডিজিটাল হচ্ছে তারই ধারাবাহিকতায় ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কার্যক্রম ডিজিটাল করা হয়েছে বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায় এবং একদিন বিআরটি তে গিয়ে সব কাজ শেষ করে ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড কিন্তু ঘরে বসেই ডাকযোগের মাধ্যমে রিসিভ করা যায় নিচের ভিডিওতে দেখলে আপনি এ টু জেড ধারণা পেয়ে যাবেন কিভাবে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করবেন এবং কিভাবে ডাকযোগের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড টি ঘরে বসেই গ্রহণ করতে পারেন ।